সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবার

জুয়েল হোসাইন মজুমদার
আপডেটঃ জুন ১৯, ২০২০ | ১১:২১
জুয়েল হোসাইন মজুমদার
আপডেটঃ জুন ১৯, ২০২০ | ১১:২১
Link Copied!

আজ শুক্রবার। সপ্তাহের সকল দিনের শ্রেষ্ঠ দিন জুম্মাবার। জুমুআ শব্দটি আরবি -এর বাংলা অর্থ একত্র হওয়া। এই দিনটিতে মুসলিম উম্মাহ সাপ্তাহিক ঈদ এবং ইবাদতের উদ্দেশ্য মসজিদে একত্র হয়। এই দিনটির অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা এই দিন সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ।’ সূরা জুমুআ :০৯।

এদিন এবং এদিনের আমল সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে, এককভাবে অন্য কোনো দিন বা সেদিনের নামাজ নিয়ে এত বর্ণনা আর পাওয়া যায় না। যেমন : আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যার ওপর সূর্য উদিত হয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং এই দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম : ১৪১০)

আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমরা শেষে এসেছি কিন্তু কেয়ামতের দিন সকলের আগে থাকবো। যদিও অন্য সব জাতিকে (ইহুদি ও খ্রিস্টান) গ্রন্থ দেয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে, আমাদের গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদের পরে। অতঃপর জেনে রাখো এ দিনটি আল্লাহ আমাদের দান করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন। আর অন্য লোকেরা এ ব্যাপারে আমাদের পেছনে আছে। ইহুদিরা জুমার পরের দিন (শনিবার) উদযাপন করে আর খ্রিস্টানেরা তার পরের দিন (রোববার) উদযাপন করে।’ (সহিহ মুসলিম : ৮৫৬)

বিজ্ঞাপন

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন ফরজ গোসলের মত গোসল করে প্রথম দিকে মসজিদে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানি করলো, দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে সে যেন একটি গরু কোরবানি করলো, তৃতীয় যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করলো সে যেন একটি ছাগল কোরবানি করলো। অতঃপর চতুর্থ যে ব্যক্তি মসজিদে গেলো সে যেনো একটি মুরগি সদকা করলো। আর পঞ্চম যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করলো সে যেনো একটি ডিম সদকা করলো। অতঃপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুৎবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুৎবা শুনতে বসে যায়।’ (সহিহ বুখারি : ৮৮১)

এছাড়াও অসংখ্য হাদিস রয়েছে এই পবিত্র দিনটিকে কেন্দ্র করে।

এই দিনে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লীর সমাগমের মধ্য দিয়ে জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু বর্তমানে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে মসজিদে সীমিত পরিসরে এবং দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করা হয়। ফলে পূর্বের থেকে বর্তমানে জামায়াতে মুসল্লীর সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। তবে সকলের মতামত এই পরিস্থিতি পূর্বের রুপে ফিরে আসবে। আবার হাজার হাজার মুসল্লী নিয়ে মসজিদে জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

ট্যাগ: