রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দু’দফা জানাযা শেষে শাহজাহান সরকারের দাফন
মাহফুজ মল্লিক
Link Copied!
মতলব দক্ষিণ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান সরকার (৬৫) ইন্তেকাল করিয়াছেন (ইন্না লিল্লাহি……………রাজিউন)। ৭ জুলাই মতলব বাজার শাহী জামে মসজিদে ঘুমস্ত অবস্থায় সকাল ৯টায় মৃত্যুবরন করেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ ছেলে ও অসংখ্য আত্বীয়-স্বজন গুনীগ্রহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঐদিন সকালে তিনি মতলব বাজার জামে মসজিদে বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। মসজিদে থাকা শাহীন নামক তাকে ঘুম থেকে জাগাতে গিয়ে দেখতে পান তাঁর কোন সাড়াশব্দ নেই। পরে স্থানীয় লোকজন এসে দেখেন মোঃ শাহাজাহান সরকার আর বেঁচে নেই। বিষয়টি পরিবারের লোকজদেরকে অবহিত করা হলে সাথে সাথে তাঁরা মসজিদে চলে আসেন এবং লাশ কলাদীর বাসায় নিয়ে যান। পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও দু’ দফা জানাযা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মরহুম শাহজাহান সরকারকে নিজ গ্রাম উত্তর বাইশপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় মতলব বাজার শাহী জামে মসজিদে। এতে ইমামতি করেন অত্র মসজিদের মুয়াজ্জিন। জানাযার আগে সংক্ষিপ্ত স্মৃতচারন করেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বিএইচএম কবির আহম্মেদ,উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুবিন সুজন, , মতলব পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন,মতলব পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম নুরু,জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুল কাইয়ুম খান,মরহুমের ছোট ভাই আনোয়ার সরকার।অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মতলব বাজার বনিক ও জনকল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি মজিব সরকার। পরে বিকাল সোয়া ৫ টায় উত্তর বাইশপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারন করেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক জহির সরকার,মতলব পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শাহ গিয়াস,বর্তমান প্যানেল মেয়র আবুল বাসার পারভেজ,মরহুমের ছোট ভাই আনোয়ার সরকার, মহরহুমের বড় ছেলে সারোয়ার সরকার লিখন।অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মতলব বাজার বনিক সমিতির সহ সভাপতি মমজি ব সরকার। জানাযা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হকের উপস্থিতিতে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচএর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শাহজাহান সরকারের কফিনে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযুদ্ধাদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেযে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।