
আগের রাতে ভোটারদের দিলেন জাল টাকা
জেতার পর দেখালেন পুলিশের ভয়


মো. সুমন সরকার রায়গঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। জেলা পরিষদের সদস্য পদে (বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এর আগেও তিনি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভোটারদের এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন তিনি। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন এমন মিথ্যা ও গুজব ছড়াচ্ছে। কোনো ইউপি সদস্যকে তিনি জাল টাকার বান্ডিল দেননি। ভোটাররা তাঁকে ‘ভালোবেসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে’ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
সুমন শুধু জাল টাকা দিয়েই প্রতারণা করেননি। ভোটের আগের রাতে তিনি ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে করমর্দন করে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি নেন। এ সময় তাঁর হাতে একটি ছোট কোরআন শরিফ ছিল। পরে ভোটের দিন সকালে তিনি ভোটারদের বলেন—তুমি কিন্তু পবিত্র কোরআন শরিফ ছুঁয়ে আমাকে ভোট দেবে বলে কথা দিয়েছ।
নির্বাচনে টাকা লেনদেনের বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি আইনত দণ্ডনীয়। তাঁরা এই বিষয় সম্পর্কে এখনো জানেন না। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
ভোট আদায়ের জন্য সুমন সরকারের অভিনব আরেক কৌশলের কথা বলেছেন একজন ইউপি সদস্য। নাম না প্রকাশের শর্তে তিনি বলেন, ‘সুমন শুধু জাল টাকা দিয়েই প্রতারণা করেননি। ভোটের আগের রাতে তিনি ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে করমর্দন করে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি নেন। এ সময় তাঁর হাতে একটি ছোট কোরআন শরিফ ছিল। পরে ভোটের দিন সকালে তিনি ভোটারদের বলেন—তুমি কিন্তু পবিত্র কোরআন শরিফ ছুঁয়ে আমাকে ভোট দেবে বলে কথা দিয়েছ।
সূত্র: প্রথম আলো


