মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ গ্রেপ্তার
বুধবার রাতে সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে প্রত্যাহার করা হয়। আদালতের নির্দেশেই বুধবার রাতে টেকনাফ থানায় প্রদীপসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। আর সেই সাথে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কক্সবাজারে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের মামলায় টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফ মডেল থানায় ওসি হিসেবে যোগ দেন ২০১৮ সালে। তিনি উপপরিদর্শক পদে ১৯৯৫ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। প্রদীপ কুমার দাশ ২০১৯ সালে পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পান। একাধিকবার রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন তিনি।
এরআগে, টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালতে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
ওই ঘটনায় জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বুধবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের সমিতি রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া)।
একই দিন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ কক্সবাজারে গিয়ে সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এরপর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, এই ঘটনায় দায়ী হিসেবে যে বা যারা চিহ্নিত হবে, তারাই শাস্তি পাবে। এর দায় ব্যক্তির। কোনো বাহিনীর না।
গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশেদের মা নাসিমা আখতারকে ফোন করে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দেন।
গত শুক্রবার রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)।
তার গাড়িতে থাকা তার সঙ্গী সিফাতের ভাষ্যমতে, কোনো জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই চেকপোস্টে গাড়ি থেকে নামতে বলে চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে তাকে হত্যা করেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলী।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ খান।