
বাবাকে হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে জামাতা ও ছোট ছেলে লিখে নিলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

Link Copied!

পরিবারের বাবার মৃত্যুর পর জানালো গেলো চিকিৎসা করানো হয়নি। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে না নিয়ে ঢাকার কারওয়ান বাজারে তিল তিল করে গড়ে তোলো বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি লিখে নিলো বড় জামাতা ও ছোট ছেলে।
ঘটনাটি লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৯নং বোলাকোট ইউনিয়নের নোয়াপাড়া হাজী বাড়ীতে ঘটে।
ওই বাড়ীর প্রয়াত শামছুল হক মাষ্টারের অস্বাভাবিক মৃত্যু ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আত্মসাতের চেষ্টার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন বড় ছেলে জিয়াউর রহমান। শেষ বয়সে সন্তানদের লোভের কাছে হেরে গেলেন শামছুল হক মাষ্টার।
গেল ২৩ নভেম্বর নিজের আপন ঠিকানায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। আগের দিন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ছোট জামাতা দেলোয়ার হোসেনের কাছে নিয়ে যান স্ত্রী মমতাজ বেগম ও ছোট ছেলে শাহ পরান। সেখানে নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স পবিত্র ভান্ডার লিখে নেয় বড় জামাতা। ৩ লাখ টাকা ক্যাশ ও ৫৭ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন দেলোয়ার হোসেন। শাহ পরাণ আবার তার বাবার কাছ থেকে ৫৭ লাখ টাকার একটি চেক লিখে নেয়। রাতে বাসায় ফেরার পরদিন সকালে মারা যান শামছুল হক মাষ্টার।
শামছুল হক মাস্টারের বড় ছেলে ও দুই মেয়ে বাবার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সরজমিনে গিয়ে শাহ পরাণ ও দেলোয়ারের খোঁজ মিলেনি। তবে দেলোয়ারের মেয়ে দাবী করেন, দোকান বুঝে দিলে টাকা দেয়া হবে শামছুল হক মাষ্টারের স্ত্রী মমতাজ বেগম তার স্বামীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করেন।
এছাড়া দোকান বিক্রির টাকা সমবন্টন করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। শামছুল হক মাষ্টারের প্রথম স্ত্রী মারা যান। সেই সংসারে এক ছেল তিন মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রীর একমাত্র ছেলে শাহ পরাণ। বৃদ্ধ শামছুল হক মাষ্টারের অর্থ সম্পদের লোভের কাছে কি প্রাণ বিলিয়ে দিতে হলো? এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।



