কুমিল্লায় প্রকৃতি প্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত পাখিপ্রেমিক মতিন সৈকত

পপুলার বিডিনিউজ ডেস্ক চাঁদপুর
আপডেটঃ জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ | ৪:৩৫
পপুলার বিডিনিউজ ডেস্ক চাঁদপুর
আপডেটঃ জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ | ৪:৩৫
Link Copied!

আহত পাখি হাতের পরশে ডানা মেলে আকাশে। কুমিল্লায় প্রকৃতি প্রেমের বিরল দৃষ্টান্ত পাখিপ্রেমিক মতিন সৈকত। জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে বাসিন্দা মতিন সৈকত শৈশব থেকে কৈশর তথা বৃদ্ধ জীবনেও চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকৃতির পক্ষে যুদ্ধ।

জীবনে দুই হাজারেরও বেশি পাখিকে চিকিৎসা দিয়ে উন্মুক্ত করা, বিষমুক্ত শস্য উৎপাদন, দেশীয় মাছের উৎপাদন, পরিবেশ রক্ষায় ফলদ ও বনজ গাছ রোপণ তথা পরিবেশ স্কুল প্রতিষ্ঠা করে অব্যাহত রেখেছেন প্রকৃতির পক্ষে লড়াই। এসব কাজের স্বীকৃতি হিসাবে পেয়েছেন জাতীয় পরিবেশ পদক।

২০২১ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে দেশসেরা একক ব্যক্তি নির্বাচিত হন মতিন সৈকত। তিন দশকের বেশি সময় ধরে কৃষি, পরিবেশ, সমাজ উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন মতিন সৈকত।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, জেলার দাউদকান্দি উপজেলার মতিন সৈকত শিশুকাল থেকেই প্রকৃতির প্রেমে পড়েন। শৈশব, কৈশর, যৌবন ছাড়িয়ে তিনি এখন প্রায় বৃদ্ধ। প্লাবনভূমিতে মাছ শিকার করতে এসে অসংখ্য পাখি নানা ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসব পাখিকে তিনি উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে উন্মুক্ত করে দেন।

বিজ্ঞাপন

তাছাড়া দাউদকান্দিসহ আশপাশের এলাকায় পাখি আক্রান্তের শিকারের খবর পেলেই ছুটে যান মতিন। উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। মতিন সৈকত কৃষি ও পরিবেশ উন্নয়ন, বিষমুক্ত ফসল, নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন, খাল-নদী পুনঃখনন, বন্য প্রাণীসহ পাখি উদ্ধার ও অবমুক্ত, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের পাশাপাশি বহুমুখী সামাজিক আন্দোলন করে যাচ্ছেন।

মহাসড়কের দুই পাশের ময়লা-আবর্জনা, শহর-নগরের বর্জ্যকে রূপান্তরিত করে সিটিজেন ফার্টিলাইজার বা নাগরিক সার তৈরি করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে আসছেন। তাছাড়া কালাডুমুর নদী পুনঃখনন মতিন সৈকতের আন্দোলনের ফসল। কৃষি, পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়নে নিবেদিত মতিন সৈকত।

সূত্র: যুগান্তর

বিজ্ঞাপন

E/N

ট্যাগ: